২২ ক্যারেট (হলমার্ক) সোনার দাম
১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট (হলমার্ক) সোনার দাম কত তা নিচে নিম্নরূপ।
পরিমাপ | দাম |
---|---|
প্রতি এক ভরি | ৳1,16,954.92 |
প্রতি এক আনা | ৳7,308.68 |
প্রতি এক রতি | ৳1,804.86 |
প্রতি এক গ্রাম | ৳10,027 |
অন্যান্য দেশে ২২ ক্যারেট (হলমার্ক) সোনার দাম
- ইন্ডিয়াতে প্রতি গ্রাম: ₹ 6,583
- বাংলাদেশি টাকায়: ৳9,237.28
- পাকিস্তানে প্রতি ভরি: PKR 221,093
- বাংলাদেশি টাকায়: ৳310,238.06
- USA-তে প্রতি গ্রাম: $68.75
- বাংলাদেশি টাকায়: ৳8,060.10
- সৌদি আরবে প্রতি গ্রাম: SAR268
- বাংলাদেশি টাকায়: ৳8,373.73
যে কারণে আমাদের উল্লিখিত দাম গুলো নির্ভুল
আপনাদের সুবিধার্থে আমরা প্রতিদিন ২২ ক্যারেট (হলমার্ক) সোনার দাম (বাজুস) অনুযায়ী আপডেট করে থাকি, যার ফলে আমাদের দাম গুলো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সোনার দাম পরিবর্তনের কারণ
সোনার দাম পরিবর্তিত হয় বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ হলো:
আন্তর্জাতিক বাজার: আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে তার প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়ে।
মুদ্রার মান: ডলারের মানের পরিবর্তন সোনার দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
সরবরাহ ও চাহিদা: সোনার সরবরাহ ও চাহিদার অনুপাতেও সোমার দামের পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সোনার দামের উপর প্রভাব ফেলে। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বা সংকটের সময়ে সোনার দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায়।
ভ্যাট ও কর: সরকারের ভ্যাট ও কর নীতির পরিবর্তনে সোমার দাম বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, সরকার যদি সোনার উপর ভ্যাট বাড়িয়ে দেই তাহলে সেটা সসরাসরি সোনার উপর প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশে সোনার দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
√বাজুস (বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি): বাজুস নিয়মিতভাবে সোনার বাজার মূল্য পর্যালোচনা করে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করে।
√বাজারের চাহিদা ও যোগান: দেশের বাজারে সোনার চাহিদা ও যোগান সোনার দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। চাহিদা বেশি হলে দাম বাড়ে, আর যোগান বেশি হলে দাম কমে।
সোনার মান ও ক্যারেট
সোনার মান নির্ধারণে ক্যারেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট ইত্যাদি সোনা বাজারে পাওয়া যায়। ২২ ক্যারেট সোনা মানে এতে ৯১.৬% খাঁটি সোনা রয়েছে, আর বাকিটুকু (৮.৪%) অন্য ধাতু মিশ্রিত যেটাকে খাদ বলা হয়ে থাকে। বুঝার সুবিধার্থে নিচে একটি লিস্ট দেওয়া হলো।
- ২৪ ক্যারেট (২৪K): ১০০% বিশুদ্ধ সোনা।
- ২২ ক্যারেট (২২K): ৯১.৬% বিশুদ্ধ সোনা।
- ২১ ক্যারেট (২১K): ৮৭.৫% বিশুদ্ধ সোনা।
- ১৮ ক্যারেট (১৮K): ৭৫% বিশুদ্ধ সোনা।
বিভিন্ন ক্যারেট অনুযায়ী বাংলাদেশে সোনার সঠিক দাম জানতে এখানে ক্লিক করুন
সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা
বাংলাদেশে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:
টাচস্টোন পরীক্ষা: একটি প্রাচীন এবং প্রচলিত পদ্ধতি যেখানে সোনার উপর একটি টাচস্টোন দিয়ে ঘষে দেখা হয়।
অ্যাসিড পরীক্ষা: সোনার উপর কিছু বিশেষ অ্যাসিড প্রয়োগ করে তার প্রতিক্রিয়া দেখে বিশুদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়।
এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স (XRF): এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা সোনার বিশুদ্ধতা খুব দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে সোনার বাজার
আপনি যদি সোনার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে বাংলাদেশে সোনার বাজারে বিনিয়োগ করা একটি লাভজনক ব্যাপার হতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য সোনা একটি নির্ভরযোগ্য সম্পদ। সোনার বাজার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বিশ্বস্ত জুয়েলারি দোকান: সোনার গয়না বা বার কেনার সময় বিশ্বস্ত ও প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি দোকান থেকে কেনা উচিৎ।
হলমার্ক সোনা: সোনা কেনার সময় হলমার্ক সোনা কিনুন, যা আপনাকে ভালো মানের নিশ্চয়তা দেয়।
বিনিয়োগ পরিকল্পনা: সোনায় বিনিয়োগের পূর্বে একটি সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন। কিভাবে করলে আপনি লাভবান হতে পারেন বলে আপনার মনে হয়।
সোনার বিনিয়োগের সুবিধা
সোনায় বিনিয়োগের কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো:
মূল্য স্থায়ীত্ব: সোনা একটি স্থায়ী সম্পদ, যার মূল্য দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী থাকে।
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিরোধ: মুদ্রাস্ফীতি প্রতিরোধে সোনা একটি ভালো সম্পদ।
নগদীকরণের সহজতা: পৃথিবীর সবজায়গায় এটার চাহিদা থাকায় সোনা সহজে নগদীকরণ করা যায়।
নিরাপত্তা: অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে সোনা নিরাপত্তা প্রদান করে। কারণ, যুগ যুগ ধরে সোনার আলাদা একটি মান বা চাহিদা আছে এবং এটি ভবিষ্যতেও থাকবে।
উপসংহার (শেষ কথা)
বাংলাদেশে সোনার বর্তমান দাম এবং সোনার বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কেন সোনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজার, মুদ্রার মান, সরবরাহ ও চাহিদা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের কর নীতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। যাইহোক আপনি যদি সোনায় বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সোনায় বিনিয়োগ করার পূর্বে এই সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।
এই আর্টিকেলটি আপনাকে সোনার বাজার সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দিতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি এবং আপনাকে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। সোনার বাজারে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার সম্পদের স্থায়ীত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।